Structure of Foundation Training Course in Bangladesh Civil Service

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম. এ. মান্নান 

 বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতি কর্তৃক পরিচালিত ‘‘Structure of Foundation Training Course in Bangladesh Civil Service: Its Evolution since 1977’' শীর্ষক গবেষণার ফলাফলের ওপর একটি সেমিনার গত ২৩ আগস্ট ২০২২ তারিখ, মঙ্গলবার বেলা ১১:৩০ টায় বাংলাদেশ প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন সমিতির ফার্মগেটস্থ কার্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

বিএসটিডি’র প্রেসিডেন্ট জনাব এম জানিবুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব এম. এ. মান্নান, এমপি। সেমিনারের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বিএসটিডির মহাসচিব এম খায়রুল কবীর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) পেশাগত ও কারিগরি মিলিয়ে অনেকগুলো ‘ক্যাডার” রয়েছে। এসব ক্যাডার বিভক্তির প্রয়োজন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ. মান্নান, এমপি। সরকার বিসিএস (প্রশাসন) ও বিসিএস (ইকোনোমিক) ক্যাডার দুটিকে একীভূত করেছে। মন্ত্রী আরও বলেন, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে একজন বাঙালী ও কিউরিয়াস ব্যক্তি হিসেবে আমার কিছু অভিব্যক্তি আছে, যা আমি সাহস করে বলে ফেলি। আদৌ কি ক্যাডার সিস্টেমের দরকার আছে? বিশ্বের স্বীকৃত উন্নত দেশ আমেরিকা-ইউরোপে কি এই সিস্টেম আছে? উন্নত দেশে ক্যাডার সার্ভিস না থেকে যদি ভালো পারফর্ম করে, তাহলে আমরা কেন পারবো না? বৃটিশরা কি ক্যাডার সার্ভিসে কাজ করে? আমি নিজেও কিন্তু ক্যাডারের মানুষ, ক্যাডারের অনেক সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছি। আমাদের কৃষক ও শ্রমিকের কি ক্যাডার আছে? তারা কিন্তু অনেক ভালো করছে। আমাদেরও ক্যাডার নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন আছে। মন্ত্রী আরও বলেন, আমি যখন সার্ভিসে ছিলাম, তখন গ্রামে কাজ করেছি, এখনো করি। ক্যাডারে যখন ছিলাম তখন ব্যারিয়ার ছিল। পরে রাজনীতিতে আসি। রাজনীতির ক্ষেত্রে কিন্তু কোনো ব্যারিয়ার নেই। আমি এখন সহজে মানুষের সঙ্গে মিশতে পারি। দেশে এমন একটি ব্যবস্থা থাকা বাঞ্চনীয়, যেখানে যে যার দায়িত্ব পালন করবেন। যে ব্যক্তি যে কাজে দক্ষ, সেই ব্যক্তি সেই কাজে দায়িত্ব পালন করবেন। অতপর গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন প্রকল্প দলনেতা ও বিএসটিডির নির্বাহী সদস্য বেগস সালেহা বেগম। তিনি বাংলাদেশে সিভিল সার্ভিসে নব নিয়োগকৃত কর্মকর্তাদের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এর অতীত, বর্তমান ও বিবর্তনের বিষয়ে গবেষণার ফলাফল সংক্ষেপে তুলে ধরেন। উপস্থাপিত গবেষণার ফলাফলের ওপর আলোচক হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন যথাক্রমে সরকারের সাবেক সচিব ড. সৈয়দ নকীব মুসলিম, অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ, বিএসটিডি’র আজীবন সদস্য জনাব এ কে এম মিজানুর রহমান, আরডিএ’র সাবেক মহাপরিচালক ড. মুহাম্মদ সোলাইমান, বিএসটিডি’র সাধারণ সদস্য ড. মোঃ ফোরকান উদ্দিন ও পর্ষদ সদস্য ড. মোঃ আরিজুল ইসলাম খান প্রমুখ। সভাপতির বক্তব্যে জনাব এম জানিবুল হক বলেন সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাগণের মূল ভিত্তি গড়ে উঠে ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এর মাধ্যমে। কাজেই এ ট্রেনিং যত কার্যকরভাবে দেয়া হবে কর্মকর্তাগণ সুশীল সেবক হিসেবে দেশে তত বেশী ভূমিকা রাখতে পারবে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের কার্যক্রম ১৯৭৭ সাল থেকে এর বিবর্তন তুলে ধরেন। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম এ মান্নান সেমিনারের ফলাফল উপস্থাপিকা সালেহা বেগম এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন বিএসটিডি’র নির্বাহী কমিটির সদস্য বেগম নুরুন নেসা বেগম।